AdSense

Wednesday, July 10, 2019

২০ মণ ওজনের গরু ‘পালসার বাবু’

২০ মণ ওজনের গরু ‘পালসার বাবু’
ইত্যা গ্রামের ইয়াহিয়ার ষাঁড়ের (পালসার বাবু) যত্ন করছেন গৃহকর্ত্রী মনোয়ারা বেগম। ছবি: ইত্তেফাক

যশোরের মণিরামপুরের ইত্যা গ্রামের গরু ব্যবসায়ী ইয়াহিয়া মোল্লা। গরু ব্যবসার পাশাপাশি শখের বসে একটি করে ষাঁড় পোষেন তিনি। গত তিন বছর ধরে তার পোষা ষাঁড়টির বর্তমান দাম ১২ লাখ টাকা। তিনি ষাঁড়টির নাম দিয়েছেন ‘পালসার বাবু’। ঐ নামেই বাড়ির সবাই ডাকেন তাকে। এবারের কোরবানিতে পালসার বাবুকে বিক্রি করতে চান তিনি। ক্রেতাকে গরুর সাথে পালসার উপহার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ইয়াহিয়া মোল্লা।

সবসময় সন্তানের মতো ষাঁড়টিকে আগলে রেখেছেন ইয়াহিয়া মোল্লার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম।
এদিকে গরুর দাম ১২ লাখ টাকা, লোকমুখে এমন কথা শুনে পালসার বাবুকে দেখতে ইয়াহিয়ার বাড়িতে পড়ছে উত্সুক জনতার ভিড়। প্রতিনিয়ত খুলনা, পাইকগাছা, শার্শা, ঝিনাইদহ, যশোরসহ উপজেলার দূর-দূরান্ত থেকে শতশত নারী, পুরুষ, শিশু, কিশোর-কিশোরী ভিড় জমাচ্ছেন। অনেকে মোবাইলে ধারণ করছেন ষাঁড়টির ছবি।
মঙ্গলবার সকালে ইয়াহিয়ার বাড়িতে গিয়ে উত্সুক মানুষের ভিড় দেখা যায়। এসময় কথা হয় উপজেলার ঘুঘুরাইল গ্রামের ইনতাজ আলীর সাথে। তিনি বলেন, লোকমুখে ১২ লাখ টাকার ষাঁড়ের কথা শুনে আইছি। এতবড়ো গরু জীবনে প্রথম দেখলাম।
ঘুঘুরাইল গ্রামের ইদ্রিস আলী বলেন, ১২ লাখ কেন ১৫ লাখেও এই ষাঁড় বিক্রি হতে পারে। মানুষ দাম দেখবে না, চেহারা দেখে এই ষাঁড় কিনবে।
ইয়াহিয়া মোল্লার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম বলেন, রোজার ঈদের পর থেকে ষাঁড় দেখতে বাড়িতে লোকজন আসা শুরু করেছে। গত দশ দিন ধরে মানুষের ভিড় বেড়েছে।
ইয়াহিয়া বলেন, ১৯৯৬ সাল থেকে একটা করে বড়ান জাতের (শংকর) গরু পুষে আসছি। ৪৫ হাজার টাকায় তিন বছর আগে ‘হলেস্টিয়ান’ জাতের এই ষাঁড় কেনা। শখ করে ওর নাম দিছি পালসার বাবুু। গত বছর সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা দাম হইল। বিক্রি করিনি। ২০ মণ ওজনের ষাঁড়টির দাম এবার চাচ্ছি ১২ লাখ টাকা। ঐ দামে গরু বিক্রি করতে পারলে ক্রেতাকে খুশি হয়ে পালসার মোটরসাইকেল উপহার দেব।
ইয়াহিয়া বলেন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কোনো পরামর্শ ছাড়াই গরুটা আমি পুষছি। ছয় কাঠা জমিতে ঘাস লাগানো আছে। সেই ঘাস আর খইল ও ভুসি খাওয়াইয়ে গরু এত বড়ো করছি।
মণিরামপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আবুজার সিদ্দিকী বলেন, কাশিমনগর ইউনিয়নে একটা বড়ো ষাঁড় আছে শুনেছি। কিন্তু আমি দেখিনি।

No comments:

Post a Comment