AdSense

Thursday, September 5, 2019

গণধর্ষণের মামলায় নাম নেই অভিযুক্ত এসআইয়ের!

গণধর্ষণের মামলায় নাম নেই অভিযুক্ত এসআইয়ের!
এসআই খায়রুল। ছবি: সংগৃহীত


যশোরের শার্শায় পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও সোর্সদের বিরুদ্ধে রাতের আঁধারে বাড়িতে ঢুকে এক গৃহবধূকে (৩২) গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। সোমবারের এ ঘটনায় অভিযুক্ত এসআই খায়রুলকে প্রত্যাহার করা হলেও মঙ্গলবার রাতে দায়ের করা ধর্ষণের মামলায় তাকে আসামি করা হয়নি। মামলার আগে ভুক্তভোগী নারীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের নামে ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

যদিও কোতোয়ালি থানায় নিয়ে ধর্ষিতার মুখোমুখি করা হলে তিনি তিন জনকে চিনতে পারলেও ঐ এসআইকে চিনতে পারেননি বলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাউদ্দীন শিকদার এক প্রেসনোটে দাবি করেছেন। পরে অপর অভিযুক্ত তিন জনসহ চার জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। ঐ তিন জনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী তিনদিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাতে শার্শার চটকাপোতা এলাকার কামরুজ্জামান ওরফে কামরুল, লক্ষ্মণপুর গ্রামের আব্দুল লতিফ এবং আব্দুল কাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চাওয়া হবে। অজ্ঞাত আসামিকে গ্রেফতারে পুলিশ সচেষ্ট রয়েছে। আর অভিযুক্ত এসআই খায়রুলকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইন্সে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
গণধর্ষণের মামলায় নাম নেই অভিযুক্ত এসআইয়ের!
গ্রেপ্তার তিন জনকে আদালতে হাজির করা হয়। ছবি: ইত্তেফাক
গণধর্ষণের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত গোড়পাড়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই খায়রুলের বিরুদ্ধে কেন মামলা করা হয়নি—এমন প্রশ্নের জবাবে যশোর পুলিশ সুপার মঈনুল হক বলেন, ভিকটিমের সামনে গতরাতে এসআই খায়রুলকে কয়েক দফা আনা হয়। কিন্তু তিনি খায়রুলকে অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করেননি।
ভুক্তভোগীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে এসআইয়ের নাম মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে— এমন অভিযোগের ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে এসপি বলেন, ঐ এসআই তখন ঝিনাইদহের এক পার্টির সঙ্গে ডিউটিতে ছিল। সুতরাং তার সংশ্লিষ্ট থাকার কারণ নেই।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত না থাকলে অভিযুক্ত এসআইকে কেন প্রত্যাহার করা হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি দোষী, সে কারণে প্রত্যাহার হয়েছে বিষয়টি এমন নয়। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে কোনো নেতিবাচক প্রভাব যেন না পড়ে, সেজন্য তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শার্শা উপজেলার লক্ষ্মণপুর এলাকায় ঐ গৃহবধূর বাড়িতে সোমবার রাতে গিয়ে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন গোড়পাড়া ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই খায়রুল ও তার কয়েকজন সোর্স। টাকা দিলে মাদক মামলায় আটক তার স্বামীর বিরুদ্ধে ৫৪ ধারায় মামলা দেখিয়ে জামিনে সহায়তা করবেন বলে জানান। আলোচনার একপর্যায়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এতে খায়রুল ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এরপর খায়রুল ও কামরুল ঐ নারীকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ ওঠে। মঙ্গলবার সকালে ঐ নারী যশোর জেনারেল হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য এলে বিষয়টি জানাজানি হয়।

No comments:

Post a Comment