![]() |
| বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট। ছবি: সংগৃহীত |
সারা দেশের আদালতে আইনজীবী, বিচারক ও কর্মকর্তাদের নিরাপত্তায় কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেয়। একই সঙ্গে কুমিল্লা জজ কোর্টে এক আসামির হাতে আরেক আসামিকে হত্যার ঘটনাকালীন আদালতে যারা নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তাও জানাতে চেয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।
কুমিল্লা আদালতের ঘটনার পর সারা দেশের আদালতে যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিতের নির্দেশনা চেয়ে আনা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ এ আদেশ দেয় হাইকোর্ট। শুনানিকালে আদালত বলেন, 'কুমিল্লার পর সুপ্রিমকোর্ট বারেও ঘটনা ঘটেছে। এ অবস্থায় কোর্টে আইনজীবী, জাজ ও কর্মকর্তাদের সিকিউরিটির জন্য কি পদক্ষেপ নিলেন?'
এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, 'দুইটি ঘটনাই ব্যক্তিগত।' এই উত্তরের প্রেক্ষিতে আদালত বলেন, 'ডেফিনেটলি এটা নেগলিজেন্স।'
এরপর আদালত ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে সারা দেশের আদালতে আইনজীবী, বিচারক ও কর্মকর্তাদের নিরাপত্তায় কি ব্যবস্থা এবং কুমিল্লার ঘটনায় যারা নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানাতে নির্দেশ দেয়।
উল্লেখ্য, ১৫ জুলাই কুমিল্লা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফাতেমা ফেরদৌসের আদালতে জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলার কান্দি গ্রামে ২০১৩ সালের ২৬ আগস্ট সংঘটিত আবদুল করিম হত্যা মামলায় আসামি আবুল হাসান (২৫) ও ফারুক হোসেন (২৭) হাজিরা দিতে আসেন। আদালতে বিচারিক কার্যক্রম চলার সময় ওই হত্যা মামলার আসামি আবুল হাসান হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে তার সহযোগী আসামি ফারুক হোসেনকে ছুরিকাঘাত করেন। ফারুক দৌড়ে বিচারকের খাস কামরায় গিয়ে আশ্রয় নিলেও হাসান ওই কামরায় গিয়েই ফারুককে আবারও উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করেন। এতে ফারুক মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় এ আদালতে সাক্ষী দিতে আসা এক পুলিশের সাহসিকতায় হাসানকে ধরা হয়। হত্যাকারী ও হত্যার শিকার দুইজন নিকটাত্মীয়। গুরুতর আহত ফুককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ (কু-মেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় জেলা পুলিশ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে এবং মামলাও হয়েছে। এ ঘটনায় সারাদেশের আদালতে নিরাপত্তা চেয়ে রিট করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান। আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ (বাশার)।

No comments:
Post a Comment