
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিপাতের ফলে বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে উপজেলার চর এলাকার কামারপুর, রহদহ, ঘুঘুদহ, চন্দনবাইশা, ধলিরকান্দি ও কুতুবপুরের নিচু এলাকা ডুবে গেছে। পানির নিচে তলিয়ে গেছে আউশ ধান, আমন বীজতলা ও শাকসবজির ক্ষেত।
বগুড়া পাউবো’র নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান মাহমুদ জানান, যমুনার পানি সারিয়াকান্দি ও ধুনট পয়েন্টে বিপদসীমার ৩ সে. মি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনা নদী সারিয়াকান্দির গোদখালী ও ধুনটের কয়াগাড়ী বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের কাছাকাছি দিয়ে প্রবাহিত হলেও বাঁধে ভাঙনের কোন সম্ভাবনা নেই। যমুনার পানি পাড়ের উপড় দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় যমুনার ভাঙনও কমে গেছে।
বগুড়া জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহমেদ জানান, বন্যার পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগকে নিয়ে সভা করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ত্রাণ সামগ্রীও প্রস্তত রয়েছে। সার্বক্ষণিকভাবে খোঁজ-খবর রাখা হচ্ছে। এদিকে, জেলার সোনাতলা উপজেলার দুটি চরের অধিবাসী পানিবন্দীর আশঙ্কায় তাদের বাসস্থানের জিনিসপত্র সরিয়ে নিচ্ছে।
No comments:
Post a Comment