![]() |
| আদিতমারীতে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় একটি বাড়িতে পানি প্রবেশ করছে- ইত্তেফাক |
কয়েকদিনের ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি বেড়ে বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শুক্রবার রাতে পানির তোড়ে হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী তালেব মোড় এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে গেছে। ফলে হাতীবান্ধা শহরে বন্যার পানি প্রবেশ করছে। বন্যায় প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। ফলে লালমনিরহাটের বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি দেখা দিয়েছে।
এদিকে আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের সলেডি স্পার-২ বাঁধটি হুমকির মুখে পড়েছে। বাঁধটি রক্ষায় এলাকাবাসী আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিস্তার পানি বিপদসীমার উপর অতিক্রম করায় অনেকেই বাড়ি ঘর ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যাচ্ছেন। আবার অনেকেই গবাদীপশু নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন।
আরও পড়ুন: বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
গোবরধন গ্রামের আফজাল হোসেন জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বাড়ির সব জায়গায় পানি উঠায় রান্না করারও কোন ব্যবস্থা না থাকায় চরম বিপাকে পড়েছেন তার পরিবার।
ভারতের গজল ডোবা ব্যারেজে তিস্তার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় ওই ব্যারেজের গেট খুলে দেওয়ায় ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি প্রবাহ বেড়েছে বলে দাবি করেছেন ডালিয়া ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ। এতে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে লালমনিরহাটে বন্যা পরিস্থিতি চরম পর্যায়ে উঠেছে। নদী তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষকে সাবধানতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নে পানিবন্দী পরিবারগুলোর মাঝে সরকারিভাবে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ শুরু করা হয়েছে। সেখানে ১২ মেঃটন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তবে প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল বলে দাবি করেন মহিষখোচা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেন, এ ইউনিয়নের সাড়ে তিন হাজার পরিবার পানিবন্দি হলেও বরাদ্দ পেয়েছি মাত্র ১২ মেট্রিক টন জিআর চাল।
আদিতমারী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মফিজুল ইসলাম বলেন, বন্যার্তদের জন্য ১২ মেঃটন জিআর চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যে তা বিতরণও করা হয়েছে। তবে শুকনো খাবারের প্রয়োজন থাকলেও বরাদ্দ না থাকায় দেওয়া হচ্ছে না।
জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন অফিসার আলী হায়দার জানান, জেলার ৫টি উপজেলার বন্যা কবলিতদের ত্রাণ দিতে জেলা প্রশাসন থেকে ১১০ মেট্রিকটন জিআর চাল ও আড়াই লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যার বিতরণও শুরু হয়েছে। শুকনো খাবারের প্যাকেট পর্যাপ্ত না থাকা দেওয়া যাচ্ছে না বলেও জানান তিনি।

No comments:
Post a Comment