![]() |
| পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ছবি: সংগৃহীত। |
আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডার থেকে পাকিস্তানকে অর্থ সাহায্য দেওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে গত ৫ এপ্রিল মার্কিন ট্রেজারি দফতরের সচিব স্টিভেন মনুচিন এবং মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেয়োর উদ্দেশে চিঠি লেখেন কংগ্রেসের তিন নেতা টেড ইয়োহো, অমি বেরা এবং জর্জ হোল্ডিং। তাঁরা জানান, ‘চীন-পাকিস্তান করিডোর প্রকল্পের আওতায় পাকিস্তানে প্রায় ৬ হাজার ২০০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করছে চীন। অথচ কী ভাবে ওই টাকা শোধ হবে, করিডোর থেকে আয়ের টাকাই বা কার ভাগে কতটা যাবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। অন্যদিকে চীনের কাছে দেনা ক্রমশ বেড়েই চলেছে পাকিস্তানের। তাই আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডারের টাকায় পাকিস্তান সরকার চীনের দেনা শোধ করতে পারে বলে আশঙ্কা আমাদের।’
এর আগে, হামবানতোতা বন্দর প্রকল্পের নামে দেনার ফাঁদে শ্রীলঙ্কাকে আটকে ফেলে চীন। উপায় না দেখে বন্দর সংলগ্ন ১৫০০ একর জমি বেজিংকে ৯৯ বছরের জন্য লিজ দিতে বাধ্য হয় কলম্বো। চিঠিতে ট্রাম্প সরকারকে তাও স্মরণ করিয়ে দেন মার্কিন কংগ্রেসের ওই নেতারা। তাঁদের কথায়, আর্থিক সাহায্য দেওয়ার আগে সব কিছু খতিয়ে দেখতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে, ওই টাকা যেন কোনো ভাবেই দেনা শোধ করার কাজে না ব্যবহূত হয়।
অবশ্য মার্কিন নেতাদের চিন্তিত হওয়ার যথেষ্ট কারণও রয়েছে। ১৯৮০ সাল থেকে আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডারের কাছ থেকে ১২ বার আর্থিক সাহায্য আদায় করেছে পাকিস্তান। ২০১৩ সালে নওয়াজ শরিফের আমলে ৩৬ মাসে ৬৬০ কোটি মার্কিন ডলার আর্থিক সাহায্য পায় তারা। তা সত্ত্বেও আর্থিক সংস্কার ঘটাতে সফল হয়নি তারা। তাই চাহিদা মতো অর্থের জোগান না দিয়ে, চীনের কবল থেকে কীভাবে পাকিস্তানের মতো দেশগুলোকে উদ্ধার করা যায়, ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকারকে সেই রাস্তা খোঁজার পরামর্শ দিয়েছেন ওই তিন নেতা।
তথ্য সূত্র: আনন্দ বাজার।

No comments:
Post a Comment